প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনা মহামারি সংকটকালে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনাকালীন সময়ে সবাই যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলে। এমনকি যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরকেও আমি অনুরোধ করব তারা সুস্থ্য থাকুন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো যেন একটু মেনে চলেন।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সংসদে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের এমপি মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পার্লামেন্টে আমরা এতজন সংসদ সদস্য হারালাম। সেটা সত্যি খুব দুঃখজনক। এরকম করে আমরা আর শোক প্রস্তাব আনতে চাই না। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। ভালো রাখুক।
তিনি বলেন, মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী বহু গুণ সম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় সমাজে একটা বিরাট ক্ষতি হল। দুর্ভাগ্য হল, এই সংসদে আমরা একের পর এক সংসদ সদস্যকে হারাচ্ছি। যখনই সংসদ শুরু করলাম, দুইজনকে হারালাম। আবার আজকে মুলতবি অধিবেশন, তখন ঠিক কালকেই খবর পেলাম। তখন সত্যিই হৃদয় ভারাক্রান্ত হল। মাসুদা রশীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, তিনি খুবই মিষ্টিভাষী ও জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও অনেক অবদান রাখতে পারতেন। তার মৃত্যু আমাদের সমাজের যথেষ্ট ক্ষতি সাধন করলো।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব তোলার পর এর ওপর আলোচনা করেন, বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের, বিরোধী দলীয় প্রদান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, কাজী ফিরোজ রশীদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিএনপির হারুনুর রশীদ, সিমিন হোসেন রিমি, আবদুস সোবহান মিয়া, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াশিকা আয়শা খান, নাজমা আক্তার। আলোচনা শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামুল হক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।